তৃণমূল কর্মীর তোলাবাজি আর পরিবেশ নষ্ট করার জন্য আরামবাগ রিসর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে: ক্ষুব্ধ ত্বহা সিদ্দিকি
1 min read
নিজস্ব সংবাদদাতা: আরামবাগ রিসর্ট এখন আর আরামবাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এই রিসর্ট এখন সারা দেশে পরিচিতি লাভ করেছে। এই রিসর্ট এর মাধ্যমে এই বেকারত্বের সময়ে অসংখ্য শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এই রিসর্ট এর কর্নধার জিয়াজুর রহমান নিজেও তাঁর নিত্যদিনের বহুমুখী কর্মকান্ডের মাধ্যমে খবরের শিরোনামে থাকেন। জাতিধর্ম নির্বিশেষে অতি সাধারণ বিত্তের মানুষজনের কাছে তিনি মসিহা বা আপনজন। ভিক্ষান্নে যারা জীবন নির্বাহ করেন এমন হাজারে হাজারে মানুষের মুখে তিনি সপ্তাহে একবার করে অন্ন তুলে দেন। দুর্গা পূজা ও ঈদ উপলক্ষে তিনি বহু জায়গায় হাজার হাজার মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেন। শীতের সময় শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী তো থাকেই। অসহায় কন্যা দায়গ্রস্ত বাবা-মা এলে বা অর্থাভাবে চিকিৎসা, পড়াশুনা হচ্ছেনা এমন কেউ এলে খালি হাতে ফিরে গেছেন অতি বড় নিন্দুকও স্বীকার করবেন না। অনেক সংস্থা তাঁদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন এমনও নয়। এরপরেও কি এমন ঘটলো যে জিয়াজুর রহমান তাঁর স্বপ্নের আরামবাগ রিসর্টকে বন্ধ করে দিতে চাইছেন? ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি সাহেব পর্যন্ত ক্ষোভে ফেটে পড়লেন? তিনি রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে তাঁর ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, যে জিয়াজুর রহমান মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন, ঢাকঢোল পিটিয়ে নয়, নীরবে অসংখ্য অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন, যে মানুষটির জন্য আরামবাগ রিসর্টে কত বেকার ছেলেমেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন, রিসর্ট এর সংলগ্ন এলাকার বহু সাধারণ মানুষজন বিপদে আপদে জিয়াজুরকে পাশে পেয়ে থাকেন, সেখানে এক-দুজন লোকের জুলুমবাজীর জন্য আরামবাগ রিসর্ট বন্ধ হয়ে যাবে এটা কেন হবে? তিনি আরামবাগ আই সি ও হুগলি এসপি র দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, তাঁরা বিষয়টা নজর দিন। শাসকদলের নাম না করেও তিনি বলেন, এখানকার এক পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী বাবলু পন্ডিত নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে বহু মানুষ অভিযোগ করেছেন যে ঐ বাবলু পন্ডিত নাকি রাজনৈতিক পরিচয়কে ঢাল করে নিত্যদিন আরামবাগ রিসর্ট এর পরিবেশ নষ্ট করছে, জমির ক্ষতি হচ্ছে এরকম মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে চাপ সৃষ্টি করে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। দিনের পর দিন যেকোনো অনুষ্ঠানের বাহানায় টাকা নিয়ে যাচ্ছে, তার পরও উপর চাপ সৃষ্টি করছে। না পেলেই হুজ্জতি করে রিসর্ট এর সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ত্বহা সিদ্দিকি সাহেব জানান, এই বাবলুর স্ত্রী যদিও স্বামীর এই আচরণের ঘোর বিরোধী বলে তিনি শুনেছেন। তাঁর প্রশ্ন, রিসর্ট এ প্রতিদিন বহু স্বনামধন্য মানুষজন আসেন। এভাবে রিসর্ট এর সামনে এসে হুমকি হুজ্জতি করলে সুস্থ পরিবেশ বিঘ্নিত হয়, অতিথি, দর্শনার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়, এটা কেন হবে? প্রশাসনকে বলবো, এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।
আরামবাগ রিসর্ট এর কর্নধার জিয়াজুর রহমান বলেন, তাঁর এরিয়ার চারপাশে কোন জমিতে কারো কোনো ক্ষতি হয় নি, তাহলে ক্ষতিপূরণে প্রশ্ন আসছে কেনো? এটা একটা বাহানা। বাবলু পন্ডিতের হুমকি হুজ্জতি, নিত্যদিন অশান্তি সৃষ্টি, তোলাবাজি মেনে নেওয়ার থেকে রিসর্ট তুলে দেওয়া ভালো।
এই বিষয়ে পৌর প্রশাসক স্বপন কুমার নন্দী বলেন, বাবলু পন্ডিত কে তিনি জানেন না, তিনি এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।